রিভিউ: যারা জেগে থাকে-ইম্পারফেক্টলি পারফেক্ট আর্ট!
আমরা প্রত্যেকটা প্রতিবন্ধকতা কে নতুন জামার মতো পরে নিই। অস্বস্তি গুলো সঙ্গে নিয়ে। মানিয়ে নিই। আরও বড় প্রতিবন্ধকতা এলে ওটাও পরে নিই, আর আগের জামাটা কত ভালো ছিল তা নিয়ে ভাবি।
এই করে আমাদের চামড়া মোটা হয়। আমরা পরিনত হই। আমাদের মুখ বন্ধ হয়ে আসে। সময় কমে আসে। গতি বেড়ে যায়। পালাতে থাকি বাস্তব থেকে। নিজের থেকে, দুর্গন্ধের থেকে।
সারা শহর জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মাংসাশী প্রজাপতিরা।
ব্যাক্তি এবং রাষ্ট্রের শাস্বত মৌলিক বিরোধ। ব্যাক্তি জীবন সহজ করে রাখতে গেলে নিজেকে বিক্রী করতে হয়, নগ্ন হতে হয় রাষ্ট্রের কাছে। অস্তিত্বের প্রতিটা ফাঁক ফোঁকর দিয়ে নজরদারি পাহারা চলে। রাষ্ট্রই ঠিক করে দেবে ব্যাক্তি কিভাবে বাঁচবে, শ্বাস নেবে, ভাববে, শিল্প চর্চা করবে, কি খাবে, কোন ধর্ম অথবা মত কে প্রাধান্য দেবে ইত্যাদি। আবার ব্যক্তির স্বাধীনতার আশা ও হ্যাঁ বাচক ভাবনা গুলো তার নিজের। সেগুলো বাস্তবায়িত করতে গেলে রাষ্ট্র ব্যক্তির ব্যক্তি-স্বাধীনতাকে সম্মান জানিয়ে কেটে পড়ে। ভালো কিছু ভেবে নেওয়া ব্যাক্তির কাজ। তাতে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে যাবে না!
এ নব্য পরাধীনতার যুগে শিল্পচর্চা শুধুই পেশা। মেরুদণ্ডহীন। সূর্যের আলোর অভাবে ফ্যাকাসে। কোন এক অদ্ভুত ও অসহ্য বৃষ্টি এসে সব খুবলে নিয়ে গেছে; তত্ব, দর্শন এবং বাস্তব তিনটি আলাদা দিকে বাঁক নিয়ে বয়ে যায়। (যদিও অরাজনৈতিক ও দায়িত্বহীন শিল্পচর্চা গণহত্যার পাপে সমান ভাগীদার।)
‘যারা জেগে থাকে’ নাটকটি দেখলাম কাল সন্ধ্যেয়। অনেকদিন পর কোন নাটক দেখে মনে হল ঠকিনি। আসলে এ বাংলায় থিয়েটারের লোকজনই থিয়েটার আর যাত্রার পার্থক্য বোঝে না। থিয়েটার আর সিরিয়ালের পার্থক্য বোঝে না। ঢের ভালো প্রচেষ্টা এটা। আবহ সংগীত মনে থেকে যাবে। মেক আপ খুব খারাপ। কোরাসের অভিনয় আর ভালো হতে পারত। কিছু জায়গায় কম্পোজিশান আরও ভালো হতে পারত। শেষের আগের দিকটা আরও গোছানো যেত। অনেক দৃশ্য অপ্রয়োজনীয়। দৈর্ঘ্যের মেদ কিছুটা কমানো যেত। কিন্তু এতগুলো খামতি নিয়েও বক্তব্য ঠিক পরিস্কার।
এখানেই ইম্পারফেক্ট আর্ট পারফেক্টলি ‘জেগে থাকে’ দর্শকের মনে।
Animeshonly is the founder of hojelive. He has been into theatrics & literature from a very tender age. Apart from producing new content and events for the brand, he loves gazing at the sky, seeping balck coffee and listening to the meows of his cat.